দেশের ইতিহাসে প্রথম আইসিসি এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত বিসিবির চাকরি ছাড়তে চেয়ে পত্র দিয়েছিলেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। তবে বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠুর সঙ্গে আলোচনার পর আপাতত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন তিনি।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি কমিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত ক্ষুব্ধ হন সৈকত। আম্পায়ারের সঙ্গে অসাদাচরণের ঘটনায় হৃদয়কে সাত ডিমেরিট পয়েন্ট ও আর্থিক জরিমানার শাস্তি দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী, চার থেকে সাত ডিমেরিট পয়েন্ট হলেই দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।
তবে হৃদয়ের আপিলের প্রেক্ষিতে বিসিবি চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট প্রত্যাহার করে নেয়, ফলে তার এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কমে যায়। বিষয়টি আম্পায়ার সৈকতের কাছে অত্যন্ত অসম্মানজনক মনে হয়েছে। তাই ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকরি ছাড়ার ইচ্ছা জানান তিনি।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার সৈকতের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে বৈঠকে বসেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। আলোচনা শেষে তিনি জানান, "সৈকতের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তিনি আপাতত দায়িত্বে থাকছেন। তার অভিজ্ঞতা দেশের ক্রিকেটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
শরফুদ্দৌলা সৈকত শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বাংলাদেশের গর্ব। তিনি আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হওয়ার পর বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
সৈকতের মতো অভিজ্ঞ আম্পায়ার ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালে তা বিসিবির জন্য বড় ক্ষতি হতো। যদিও সাময়িকভাবে বিষয়টি মিটে গেলেও, ক্রিকেটার-আম্পায়ার সম্পর্ক এবং শৃঙ্খলা নিয়ে বিসিবিকে ভবিষ্যতে আরও সচেতন হতে হবে—এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।